ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা শিখুন এবং ইউটিউব থেকে কিভাবে আপনি একজন বড় ইউটিউবার হবেন । মাসে লক্ষাধিক টাকা অর্জন করতে পারবেন তাহলে এই টিউটোরিয়াল ওয়েব সাইটে আসুন এবং সেখানে কিভাবে আপনি টাকা আর্ন করবেন

বাংলাদেশ থেকে কি আয় করা সম্ভব


এ বিষয়টি নিয়ে লেখার আগে আমি অনেক বাংলা সাইট Research করে দেখেছি। বিভিন্ন জন তাদের সাইটে বিভিন্ন চাতুরীর কথা লিখেছেন যে, কিভাবে বাংলাদেশ হতে YouTube এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হয়। আসলে YouTube এর মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশ থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশে এখনো YouTube Monetization সাপোর্ট দিচ্ছে না। সে জন্য যে যতই চাতুরীর কথা বলুক না কেন সাধারণ কোন Channel দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা অাদৌ সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি আপনার YouTube Channel টিকে ভালমানের একটি Channel হিসেবে YouTube এর কাছে প্রমান করতে পারেন তাহলে YouTube আপনাকে তাদের নিজে থেকে Monitization এর জন্য অফার করবে। কেবল তখনই আপনি বাংলাদেশ থেকে YouTube এর মাধ্যমে অনলাইন হতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে আপনি যে সব দেশ Monitization সাপর্ট করে সে দেশের লোকেশন সেট করে খুব সহজেই আপনার চ্যানেল কে Monitization করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া, আমেরিকা বেষ্ট কান্ট্রি। আর এইটা আপনি চ্যানেল সেটিং থেকে খুব সহজেই করতে পারেন।



কি করে টাকা উপার্জন করবেন?


বর্তমানে অনেকেই জানে যে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা যায় কিন্তু সকলে সেই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। কি করে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট বানাবে বা কি করে টাকা আয় করবে বা সেই টাকা কি করে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসবে সেটা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন। আমি এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিগত প্রায় এক দেড় বছর ধরে আমি নিয়মিত ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করছি। তার পরিমাণ আমি উল্লেখ করব না কারণ ইউটিউবের সাথে যখন আমরা অ্যাগ্রিমেন্ট করি তখন সেখানে একটা পয়েন্টে আমাদের সাইন করতে হয় যে আমরা আমাদের আয়ের পরিমাণ কোনো পাবলিক ফোরামে উল্লেখ করব না। তবে একটা ধারণা দিতে পারি যে মোটামুটি ভাবে একটা মাঝারি চাকরীজীবির স্যালারি-র সমান। আপনি গুগলে সার্চ করে ইউটিউবের আয়ের পরিমাণ সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে পারেন।
প্রথম প্রশ্ন : কি করে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খুলব?
উত্তর : খুব সহজ, একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে ‘Create Channel’ পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন। ব্যস, আপনার ৫০ শতাংশ কাজ রেডি।
দ্বিতীয় প্রশ্ন : আমি ভিডিও আপলোড করেছি কিন্তু টাকা আসছে না।
উত্তর : টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে আপনার ভিডিওটি ‘Monetized’ করতে হবে। ইউটিউবের Video Manager-এ ক্লিক করুন, বা-দিকে একটা লিস্ট আসবে সেখানে Channel-e ক্লিক করুন, সেখানে আপনি Monetization পাবেন। এখান থেকে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ করতে হবে। (অ্যাকটিভ করার উপায়টি লিখে সঠিক বোঝানো সম্ভব নয়, নিজে থেকে চেষ্টা করুন এবং স্টেপগুলি ফলো করুন)।
তৃতীয় প্রশ্ন : আমি কি যেকোনো ভিডিও আপলোড করতে পারি?
উত্তর : আপনি আপলোড করতে পারবেন সব ভিডিও কিন্তু সব ভিডিও থেকে পয়সা উপার্জন করতে পারবেন না। আপনি অন্য কোনো সিনেমা বা টিভির থেকে নেওয়া ভিডিও বা অডিও , এমনকি আপনার ভিডিওর মধ্যেও যদি অন্য কারো ভিডিও বা অডিও থাকে তাহলে সেটাও মনেটাইজ হবে না, ইচ্ছে করলে ইউটিউব আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিতে পারে এবং আর আপনি কখনই আপনার নিজের নামে ভবিষ্যতে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
চতুর্থ প্রশ্ন : পাড়ার ফাংশানে একজন গায়ক গান গেয়েছে আমি তার ভিডিও নিয়েছি, সেটা কি আমি আপলোড করতে পারি?
উত্তর : এক্ষেত্রে ভিডিওটি আপনার নিজের কিন্তু যেহেতু অডিওটি অন্য কারো তাই আপনি সেটি থেকে উপার্জন করতে পারবেন না। জেনে রাখুন, অন্য কারো গান আপনি নিজে গেয়েছেন সেটাও কিন্তু ইউটিউব গ্রহণ করবে না।
পঞ্চম প্রশ্ন : কি ধরণের ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জন সম্ভব?
উত্তর : এর কোনো সঠিক উত্তর নেই। রিসার্চ বলছে ইউটিউবে সব থেকে বেশী দেখা হয় সেক্স ভিডিও কিন্তু সেটা খুব রিস্কি। ইউটিউবের নজরে এলে বা কেউ যদি আপনার ভিডিও রিপোর্ট করে দেয় তাহলে আপনার চ্যানেল ব্লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও ইউটিউবে প্রচুর সেক্স ভিডিও দেখা যায় এবং সেগুলো বহাল তবিয়তে চলে। এক্ষেত্রে কিছু কোম্পানী-র ক্ষেত্রে ইউটিউব মাঝে মাঝে দেখেও না দেখার ভান করে। আপনার ভিডিওর সাথে ইউটিউব কি করবে সেটা একমাত্র ইউটিউবই বলতে পারবে। বেশী অর্থের লোভে অতিরিক্ত সেক্স ভিডিও আপলোড না করাই ভালো।
ষষ্ঠ প্রশ্ন : কত টাকা উপার্জন সম্ভব?
উত্তর : এরও কোনো সঠিক উত্তর নেই। ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার মনেটাইজ ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব।
সপ্তম প্রশ্ন : মনেটাইজ ভিউ কি ?
উত্তর : ধরা যাক আপনার ভিডিওটে যে অ্যাড আসে, সেটা ১ মিনিট-এর মাথায়। এবার আপনার ভিডিওটি ৫০০০ ভিউ হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন হয়ত আপনার ভিডিও ১ মিনিটের কম দেখেছে। তাহলে ৫ হাজার ভিউ স্বত্তেও আপনার মনেটাইজ ভিউ হবে মাত্র ২ হাজার। মনেটাইজ ভিউ কত হয়েছে সেটা একমাত্র যার অ্যাকাউন্ট সেই দেখতে পারবে ‘Analytics’-এ ক্লিক করে।
অষ্টম প্রশ্ন : কবে থেকে টাকা আয় সম্ভব?
উত্তর : আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান অ্যাপ্রুভড হতে দুই থেকে তিন দিন লাগে। একবার অ্যাপ্রুভড হয়ে গেলেই আপনার আয় শুরু।
নবম প্রশ্ন : টাকা কবে থেকে পাব?
উত্তর : আপনার ইনকাম লেভেল যতদিন না ১০০ ডলার হচ্ছে ততদিন আপনি টাকা পাবেন না। ১০০ ডলার হলে আপনার বাড়িতে গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে তাতে একটি কোড নম্বর থাকবে সেই কোড নম্বর দিয়ে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নেম, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম, সুইফট কোড ইত্যাদি। আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট-এ আপনার নাম এবং ঠিকানা আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে, নইলে এই টাকা আপনি পাবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেখানে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেটাই ব্যবহার করবেন।
দশম প্রশ্ন : কত তাড়াতাড়ি টাকা আসবে?
উত্তর : ইউটিউব মূলত একটা মাধ্যম যেখানে মানুষ নিজেদের ভিডিও শেয়ার করে। এই সাইটের প্রাথমিক লক্ষ টাকা উপার্জন নয়। তাই টাকা উপার্জন করব ভেবে যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন তাহলে আপনি নিরাশ হবেন। ইউটিউব থেকে টাকা পেতে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। হতে পারে আপনার প্রথম টাকা পেতে পেতে এক বছর বা তার-ও বেশি লেগে গেল কিন্তু একবার টাকা আসা শুরু করলে এবং আপনার ভিডিও প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ভিউ দিতে পারলে বিশ্বাস করুন আপনাকে আর কোনো চাকরী করতে হবে না।
শেষ প্রশ্ন : সকলেই কি টাকা আয় করতে পারে?
উত্তর : আঠারো বছরের যে কেউ তার নিজের মৌলিক ভিডিও দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে। কিন্তু কার ভিডিও কত জনপ্রিয় হবে সেটা নির্ভর করছে কিছুটা আপনার দক্ষতা এবং আপনার ভাগ্যের উপর। প্রচুর মানুষ যারা নিজের পোষা বিড়ালের ছবি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে আবার অনেকে আছে যারা পয়সা খরচ করে নিজেরা নানা রকম ভিডিও বানিয়েও এক ডলার আয় করতে পারছে না। তাই সঠিক ভাবে যদি আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা অসম্ভব নয়।



আয় করার আর কিছু তত্ত্ব


YouTube Channel তৈরীঃ প্রথমেই আপনাকে Gmail ID এর মাধ্যমে একটি YouTube Channel তৈরী করে নিতে হবে। YouTube.Com এ গিয়ে Gmail ID এর মাধ্যমে Signup করলেই আপনার YouTube Channel তৈরী হয়ে যাবে।
YouTube Partner হওয়াঃ তারপর বামপাশের অপশন হতে My Channel এ ক্লিক করলে আপনার YouTube Channel টি দেখতে পাবেন। আপনার Channel টির নামের উপরে Video Manager নামে আরেকটি অপশন দেখতে পাবেন সেটিতে ক্লিক করুন। এখন বামপাশের Channel অপশনে ক্লিক করার পর ডানে অনেক অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার নামের পাশে থাকা Partner হতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে Partner Verified করতে হবে। Partner Verified না করলে আপনার ভিডিও গুলিকে Monetized করতে পারবেন না।
ভিডিও আপলোড করাঃ এখন আপনার ভিডিওটি আপলোড করুন। আপলোড হওয়ার পর ভিডিওটির নিচের দিকে Monetized অপশন দেখতে পাবেন। এখানে Monetize with ads অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই আপনার ভিডিওটিতে এখন থেকে Google বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে। তবে সাবধান কোন প্রকার কপি করা ভিডিও আপলোড করবেন না। তাহলে ইউটিউব যে কোন সময় আপনার Monetized অপশন Disable করে দেবে।
AdSense এ Apply করাঃ এখন আপনাকে আপনার YouTube Channel এর মাধ্যমে Google AdSense এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই AdSense এর মাধ্যমে আপনি টাকা উত্তোলন করবেন। এখন আবার বামপাশের Channel অপশন হতে Monetization অপশনে ক্লিক করে ডানপাশে Enable Monetization বাটন হতে Monetization একটিভ করে নিতে হবে। তারপর নিচের দিকে How Will Paid নামে আরেকটি অপশন পাবেন। সেখানে associate an AdSense account এ ক্লিক করে Next ক্লিক করে আপনার Gmail ID এর মাধ্যমে লগইন করে যাবতীয় তথ্য দিলেই আপনার AdSense Request চলে যাবে। এখন ২-৩ দিনের মধ্যে আপনার AdSense Approve এর মেইল আপনার ইনবক্সে চলে আসবে।



গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদনের


ক) যদি ভিডিওতে গুগল আডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চাই তাহলে প্রথমে গুগলএ অ্যাকাউন্ট করতে হবে। এ অ্যাকাউন্ট করতে সম্পূর্ণ ফ্রী।
খ) অ্যাকাউন্ট করার পর আডসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এ আবেদনের জন্য ইউটিউব পার্টনার হতে হবে। ইউটিউব থেকে পার্টনারশিপের যে মেইলটি পাঠান হয়, আবেদন করার সময় সে লিঙ্কটা অ্যাড করে দিতে হয়।
গ) ইউটিউব অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক দিয়ে আডসেন্স অ্যাকাউন্ট সাবমিট করা হয়।
ভিডিও আপলোড করার সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে , ভিডিওতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে যেন তা আলাদা উইন্ডো তে ওপেন হয়, তা না হলে সেটা ক্লায়েন্টের বিরক্তি ঘটায়।
আডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে জিমেইল , নাম ও এড্রেস ইত্যাদি ঠিক আছে কি না দেখে নিতে হবে। আডসেন্স অনুমোদন হয়ে গেলে যখন আডসেন্স অ্যাকাউন্ট এ যখন ১০০ ডলারের বেশী হবে তখন গুগল তা পে করে। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম সহজ একটি পদ্ধতি। সেরা আর্নাররা শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে মাসে কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।



বাংলাদেশ থেকে কি আয় করা সম্ভব



ভিডিওটির বর্ণনা দেয়াঃ নতুন ভিডিও আপলোড করার পর সাথে সাথে ভিডিওটি সম্পর্কে তার নিচে বর্ণনা দিয়ে দেবেন। তাহলে YouTube সহজে আপনার ভিডিওটি সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবে। এতেকরে YouTube নির্ধারিত টপিক অনুযায়ী ভিজিটদের কাছে ভিডিওটি পৌছে দেবে।
নিয়মিত ভিডিও তৈরীঃ নিয়মিত নিত্য নতুন ভালমানের ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার Channel টির Viewer বাড়তে থাকবে। আর Viewer বাড়া মানেই হচ্ছে আপনার আয় বেড়ে যাওয়া।
ভিডিও শেয়ার করাঃ ভিডিও পাবলিশ করার পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেমন-ফেইসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি সাইটগুলিতে আপনার ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।
ব্যাক লিংক তৈরীঃ আপনি যে বিষয় নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বা ভিডিও তৈরী করছেন এরকম অন্য জনপ্রিয় সাইটগুলিতে আপনার ভিডিওটির লিংক দিয়ে দিতে পারেন। এতে করে সেখান থেকেও আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর পেয়ে যাবেন।
শেষ কথাঃ যেহেতু YouTube হচ্ছে Google কোম্পানির একটি অংশ, সুতরাং আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে বিশ্বস্ততার সাথে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এর সব চাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনাকে কোন প্রকার Domain ও Hosting কোনটাই কিনতে হচ্ছে না। তাছাড়া YouTube এর মাধ্যমে খুব সহজেই Google AdSense অনুমোদন পাওয়া যায়। কাজেই আমার মনেহয় এটিই হচ্ছে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ, ফ্রি এবং বিশ্বস্ত একটি উপায়।



Youtube SEO করবেন কীভাবে


ইউটিউব এসইও ( Youtube SEO) করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে সঠিকভাবে কি-ওয়ার্ড এর ব্যবহার করতে জানা।

আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলোর মাঝে সঠিক ভাবে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার না করতে পারেন তবে ,

আপনার চাহিদা মত কখনই র‍্যাঙ্কিং এর মাঝে আপনার চ্যানেলটিকে প্রবেশ করাতে পারবেন না ।
২. আকর্ষণীয়ভাবে আপনার ভিডিও পরিবেশন করার চেষ্টা করুন
সবসময় মনে রাখবেন আপনার ভিডিওটি যারা দেখবে তাঁদের রুচি অনুযায়ী কিন্তু আপনাকে ভিডিও বানাতে হবে।

এমন কিছু ভিডিও বানাবেন না যা শুধু মাত্র গুটি কয়েক মানুশের ভালোলাগায় পরিণত হয় ।

সঠিক ভাবে আপনার চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ভালো তথ্য নির্ভর এবং অবশ্যই সৃজনশীল উপায়ে আপনার ভিডিও তৈরি করুন
ভালো মানের প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফার ব্যবহার করুন আপনার ভিডিও প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এবং অবশ্যই দক্ষ কাওকে দিয়ে সেগুলোকে এডিট করিয়ে নিবেন ।

কখনই বাজেট নিয়ে ভাববেন না । সামান্য বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে আপনিও স্বল্প খরচে সবচাইতে ভালো মানের এবং সৃজনশীল কিছু প্রকাশ করতে পারবেন ।

ভিডিও প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন যেগুলো আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এর ক্ষেত্রে আবশ্যক । যেমন ,

ভিডিও তে ব্যবহার করা কি-ওয়ার্ড গুলো যেন অবশ্যই ভিডিওটি প্লে হবার সবার ১০ সেকেন্ডের মাঝে উচ্চারিত হয় । অর্থাৎ ভিডিও যখন বানাবেন তখন ১০ সেকেন্ডের ভেতর সবগুলো কিওয়ার্ড উচ্চারণ করার চেষ্টা করবেন ।
কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভিডিও এর নাম সেভ করবেন ।

এসকল কাজ তো গেলো আপনার ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়। এছাড়াও আপনি যখন ভিডিও আপলোড করবেন তখনও আপনাকে অনেক ধরনের কাজ করতে হবে অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে । যেমন ,

এমন টাইটেল দিতে চেষ্টা করবেন যা মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। টাইটেলের মাঝে যেন আপনার কিওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করা হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।


ভিডিও আপলোড এর পর করনীয়


একটি ভিডিও সার্চ-ইঞ্জিনের মাঝে অপটিমাইজেশন মানে এই নয় যে আপনি ভিডিও বানালেন আর শুধু সেগুলোকে আপলোড করে বসে থাকলেন ।
আপনার ভিডিও সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করতে হলে আপলোডের পরেও অনেক কাজ আপনাকে করতে হবে যেমন ধরুন,

ভিডিওর মাঝে টিকা (Annotation) ব্যবহার করা ।
অ্যানোটেশন বা টিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার কি-ওয়ার্ড এর ব্যবহার করুন ।
ক্যাপশন (Caption) ব্যবহার করার চেষ্টা করুন সকল ভিডিওর মাঝে।
ক্যাপশন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও ক্যাপশনের মাঝে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন । অটো ক্যাপশন ফাইল ডিজেবল করে দিন ।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পূর্ণ একটি প্রচেষ্টা এবং কৌশলগত ব্যাপার আর তাই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি অথবা ভিডিও গুলো অপটিমাইজ করার ক্ষেত্রেও আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে ।



৮ টি ক্রিয়েটিভ উপায়


১ / আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক বাড়াতে মনে করেন আপনার একটি ওয়েব সাইট আছে, এখন সেই ওয়েব সাইট এর জন্য ট্রাফিক দরকার এর জন্য আপনি ইউটিউব ব্যাবহার করতে পারেন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে টার্গেট করে ভিডিও বানাতে পারেন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনি কি কি সার্ভিস দিতে চান সেটার উপর একটা ভিডিও তৈরি করেন এই ভিডিও আপনি পাওয়ার পয়েন্ট, উইন্ডোজ মুভি মেকার দিয়ে খুব সহজে ভিডিও তৈরি করতে পারেন এতে করে আপনার যখন আপনি ভিডিও আপলোড করবেন তখন ভিডিও এর ডেসক্রিপশন এ আপনার ওয়েব সাইটের লিংক দিয়ে দিবেন তাতে করে আপনার ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়বে সেখান থেকে একটা ইনকাম আসবে আবার আপলোড করা ভিডিও থেকেও ইনকাম আসবে
২ /ইউটিউবে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করুন : ইউটিউবের মাধ্যমে এখন আপনি নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন আপনার ইবুক, মিউজিক, মোবাইল সফটওয়্যার, আপনার প্রোডাক্ট ভিডিও তেৈরি VideoMakerFX ব্যবহার করবেন এবং ইউটিউবে আপলোড করার সময় আপনার পন্য টি কিনার লিংক দিয় দিবেন ভিডিও ডেসক্রিপশন এ
৩। এ্যফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে প্রোডাক্ট সেল করে আয় করুন : এ্যফিলিয়েট মার্কেটিং হল কিছু কমিশন এর মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে আয় করা, হাজার হাজার কোম্পানি এ্যফিলিয়েট মার্কেটার দের সাথে চুক্তি করে তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে দেয়ার জন্য এবং তাদের কোম্পানির প্রচার এর জন্য যেমন Amazon and eBay, ClickBank, and ShareASale.com ইউটিউব থেকে এ্যফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে আয করতে চাইলে আপনি তাদের প্রোডাক্ট এর রিভিও ভিডিও তৈরি করে এবং কিভাবে এটা ব্যাবহার করা যায় তার উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করবেন যখন আপনি ইউটিউবে তাদের ভিডিও আপলোড করবেন তখন আপনার এ্যফিলিয়েট লিংক ভিডিও ডেসক্রিপশন এ দিয়ে দিবেন এখন পন্য টি যতবার সেল হবে আপনি তার উপরে একটা কমিশন পাবেন
৪ / হয়ে যান ইউটিউব পার্সোনালিটি : ইউটিউব এ স্টার যারা আছে তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করতেছে BlueXephos তার ই উদাহরন এই চ্যানেল টিতে বিলিয়ন ভিউ হয়েছে আরও হবে সে প্রতি ১০০০ ভিউতে প্রায় ৬ থেকে ৭ ডলার ইনকাম করে নিচ্ছে এখন আপনি সালমান মুক্তাদি বা শামিম এর মত আপনার বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাংলা ফানি ভিডিও, শিক্ষা মূলক ভিডিও, তেরি করে ও ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন
৫ / টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করুন : ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিও এর অনেক চাহিদা রয়েছে, মনে করেন আপনি ফটুশপ, এবং বিভিন্ন ভিডিও এডিটং, ওয়েব ডিজাইন এর কাজ যানেন এখন এগুলোর উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন আর টিউটোরিয়াল ভিডিও ইউটিউবে ভিউ হয় অনেক
৬/ ইউটিউবে আপনার বাচ্চার অথবা আপনার পোষা বিড়াল এর ভিডিও দিয়ে ইনকাম করুন : আপনি ইউটিউবে পপুলার অথবা স্টার হতে হলে বড় সিংগার, বড় গায়ক হতে হবে এমন কোন কথা নেই আপনি আপনার বাচ্চার, বিড়াল এর, ফানি ভিডিও গুলো মুঠোফোন এর মাধ্যমে ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে দিন, দেখবেন কি পরিমান ভিউ হয়, আর ইউটিউবে আপনি baby funy video, animal video লিখে সার্চ দিয়ে দেখবেন সেই ভিডিও গুলোতে কি পরিমান ভিউ
৭/ গেমস খেলে এবং সেটা স্কিন রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করুন : আপনি যদি গেম পাগলা হয়ে থাকেন তাহলে সেটা ইউটিউবে আপলোড করে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন, বর্তমানে পকিমন গো, ফিফা গেম, এবং মিনিক্রাফট গেম এর অনেক চাহিদা রয়েছে এই গুলা খেলে স্কিন রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে হাল্কা এডিটিং করে ইউটিউবে আপলোড করুন এবং ইনকাম করুন
৮/ নতুন নতুন মোবাইল এর আনবক্সিং ভিডিও এবং সেটার রিভিও দিয়ে ইনকাম করুন : আপনার যদি মোটামোটি ভালো বাজেট থাকে তাহলে নতুন নতুন ফোন কিনে সেটার রিভিও দিতে পারেন, মোবাইল ফোন এর অানবক্সিং এবং রিভিও ভিডিও এর ইউটিউবে অনেক চাহিদা রয়েছে, সব চাইতে বেশি ইনকাম করতে পারবেন যদি রিভিও দেয়ার সময় ইংরেজী তে কথা বলে দিতে পারেন, ইংরেজি বলাটা উপরোক্ত সব গুলো গুলো আয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারলে আপনার ইনকাম আরও বহুগুন বেড়ে যাবে





এডসেন্স থেকে টাকা উত্তলোন


অনলাইনে বিজ্ঞাপনের বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম এখন অ্যাডসেন্স। সাধারণত এ মাধ্যম ব্যবহার করে ব্লগ ও ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন এবং ইউটিউবে ভিডিও মনেটাইজের মাধ্যমে আয় আসে।
সিপিসি (কস্ট পার ক্লিক) ও সিপিএমের (কস্ট পার মাইল/প্রতি হাজার ইম্প্রেশনে কস্ট) ক্ষেত্রে ভালো দর দেওয়ায় অ্যাডসেন্স প্রতিযোগীদের মধ্যে সব সময়ই সেরা। আমাদের দেশেও অনেকে এ মাধ্যম ব্যবহার করে আয় করছেন। ব্লগ থেকে আয়ের পাশাপাশি ইউটিউব মনেটাইজেশন ও অ্যাডমব থেকে আয় আসার কারনে অ্যাডসেন্স ভিডিও ব্লগার ও অ্যাপ ডেভেলপারদের কাছে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।
মাসে ১০০ ডলারের বেশি কিংবা ৬০ পাউন্ডের বেশি হলে অ্যাডসেন্স তা পাবলিশারের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। এ টিউটোরিয়ালে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো। এটি খবুই সহজ এক প্রক্রিয়া।

টাকা তোলার প্রক্রিয়া

প্রথমে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগইন করে পেমেন্ট সেটিংস অপশনে গিয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত যেভাবে চেয়েছে সেভাবে যোগ করুন। তথ্য দিতে গেলে আপনার ব্যাংকের সুইফট কোড প্রয়োজন হবে। তাই যে ব্যংকে আপনার অ্যাকাউন্ট সেখানে যোগাযোগ করে সুইফট কোড জেনে নিন। পেমেন্ট মেথড যোগ করার পর আপনার কাজ মোটামুটি শেষ। এরপর ১০০ ডলার বা তার বেশি হলে তা আপনার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। জানুয়ারি মাসে যদি আপনার ১০০ ডলার বা তার বেশি হয় তবে তা ফেব্রুয়ারির ২০ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

Comments

Popular posts from this blog

পুরুষদের জন্য উচ্চ মানের কাপড় এবং ব্রেথেবল আউটডোর স্পোর্টস স্নিকারস হালকা ওজনের এয়ার মেশ পুরুষদের জুতা সহ ট্রেন্ডিং জুতা

SSC result মার্কশিট সহ দেখার নিয়ম

Narration শেখার সহজ নিয়ম ,১০ মিনিটে শিখে ফেলুন