শবে বরাতের রাতে মিষ্টিমুখ করা আনন্দে মেতে ওঠা রুটি-হালুয়া গোশত খাওয়া কি আসলে জায়েজ
হালুয়া-রুটি ও মিষ্টি ইত্যাদি
আরেকটি কুসংস্কার হল হালুয়া রুটির। কিছু কিছু মুসলমানের কাছে প্রথাটি এতই জরুরি যে তাদের ধারণা হালুয়া-মিষ্টির আয়োজন ছাড়া শবেবরাতই হয় না। এটাও শয়তানের এক প্রকার সূক্ষ্ম কারসাজি। হালুয়া-মিষ্টি রুটির চক্করে ফেলে দিয়ে মুসলমানদের ইবাদত করা থেকে দূরে রাখাই তার উদ্দেশ্য।কিন্তু শবে বরাত হল ইবাদতের রাত্রি,একটি মুহুর্ত নষ্ট না করে সারা রাত বন্দেগী করার রাত্রি। এর সাথে হালূয়া রুটির কি সম্বন্ধ? হালুয়া, রুটি, মোরগ পোলাও বা ভোজ আয়োজনের জন্য শবেবরাত নয়। শবে বরাত তো রাত জেগে ইবাদত করা ও গুনাহগার বান্দা আল্লাহ তায়ালার রহমতের শামিয়ানায় আশ্রয় নিয়ে মাগফিরাত লাভ করে নিজেকে সৌভাগ্যমন্ডিত করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই মহান আল্লাহ শবেবরাত দান করেছেন।
তবে খেতে পারবে শবে বরাতের রাত কেউ উদ্দেশ্য করেনি আমরা প্রতিদিন নিয়মিত যেভাবে খায় ওভাবে খাইতে পারবে।
আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠা
অনেকে এ রাতে শোরগোল ও হৈচৈ করে থাকেন। উৎসবে মেতে ওঠেন। এটা সম্পূর্ণ বিদআত, হারাম । পবিত্র শাবান মাস ও শবেবরাত অধিক ইবাদতের উর্বর মৌসুম। শবেবরাত কোনো আনন্দ-উৎসবের সময় নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত লৌকিকতা, উন্মত্ততা, উৎসব প্রবণতায় শাবান ও শবেবরাতের প্রকৃত আবেদন এবং পবিত্রতা নষ্ট হয়। আমরা যদি এ ব্যাপারে এখনই সতর্ক না হই, তাহলে পবিত্র শবেবরাত পূজামন্ডপের মতো নিছক আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত হবে। অন্তরসারশূন্য হয়ে পড়বে। লোপ পাবে কাঙ্ক্ষিত রুহানিয়াত ও আত্মিকতা।
Comments