আপনি কি ছ্যাঁকা খেয়ে “অপরাধী” গান শুনে রাতের ঘুম হারাম করে চোখের জলে বালিশ ভেজাচ্ছেন? . ছ্যাকা খেয়ে থাকেন প্রেমে কষ্ট পেয়ে থাকেন তা থেকে কিভাবে বের হবেন উপায়গুলো পড়ুন, অবশ্যই সফল হবেন।

আপনি কি ছ্যাঁকা খেয়ে “অপরাধী” গান শুনে রাতের ঘুম হারাম করে চোখের জলে বালিশ ভেজাচ্ছেন?

তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য, কানের হেডফোন খুলে কান্না বন্ধ করে পোস্টটি পড়ুন।
.
আপনি ছেলে অথবা মেয়ে যেই হন ছ্যাঁকা খাওয়ার কারনটা কি একবার জানতে চেষ্টা করেছেন?
করেননি?
আচ্ছা তাহলে আমি বলছি।
.
আপনি যদি ছেলে হনঃ
ছেলেরা সাধারনত ছ্যাঁকা খায় তার আর্থিক অবস্থা, এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যত অর্থাত বেকারত্বের কারনে।
.
আপনি যদি মেয়ে হনঃ
ছেলে আপনার থেকে অনেক হাই প্রফাইলের।
.
ছেলে মেয়ে উভয়ের ছ্যাঁকা খাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোঃ
বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং স্মার্টনেস। যদি আপনি দেখতে সুন্দর এবং স্মার্ট না হন তাহলে ছ্যাঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯%, যেই ছেলে বা মেয়ে আর্থিক ভাবে সচ্ছল তারা বাকি ১% এর আওতাভুক্ত।
.
তৃতীয়পক্ষঃ
আপনার প্রেমে নতুন কোন ছেলে বা মেয়ে আসার কারনে আপনার বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড আপনাকে ছ্যাঁকা দিতে পারেন। আচ্ছা কখনো কি সেই তৃতীয় পক্ষের কথা ভেবেছেন? কেন আপনাকে ছেড়ে তাকে বেঁছে নিলো?
ভাবেননি?
এখন ভাবুন, খেয়াল করে দেখুন সেই নতুন ছেলে বা মেয়েটি আপনার থেকে সুন্দর বা সুন্দরী, কথা বলা চলাফেরায় আপনার থেকে স্মার্ট। আর্থিক ভাবে আপনার থেকে সচ্ছল অথবা তার ভবিষ্যত রামপাল অর্থাৎ উজ্জল।
.
.
কি হলো এখন বুঝতে পারছেন কেন ছ্যাঁকা খেয়েছেন?
.
এবার আমি আপনাকে নিয়ে কথা বলিঃ
আপনি কে?
আপনার যোগ্যতা কি?
কেউ কেন আপনাকে ভালোবাসবে?
.
প্রশ্নের উত্তরগুলো দিতে পারবেন?
.
ভালোবাসতে কারন লাগেনা কথা সত্য কিন্তু কোন কারন ছাড়া কেউ আপনাকে নোটিস করবেনা।
নিজেকে যখন সবার মধ্যে থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করবেন তখনি কেউ আপনাকে নোটিস করবে।
তার জন্য আপনাকে নিজেকে সেভাবে গড়তে হবে।
এ বিষয়ে একটু পরে আসছি।
.
.
আচ্ছা এখন বুকে হাত দিয়ে সত্যি করে বলেন, আপনি যেই মানুষটাকে ভালোবাসেন, তাকে কেন ভালোবাসেন?
নিশ্চই তার কোন কিছু আপনাকে তার প্রতি আকৃষ্ট করেছে। হতে পারে তার রূপ বা গুন। এমনি এমনি তো তাকে ভালোবাসেননি। যদি তাই হতো তাহলে পাশের বাসার ছেলে বা মেয়ের প্রেমে পড়লেন না কেন। এতো মানুষের ভিড়ে তাকেই ভালোবাসলেন কেন?
.
আমার কথা যদি সঠিক মনে হয় তাহলে এবার ভেবে বলুন সেই ছেলেটি বা মেয়েটি কেন আপনাকে ভালোবাসবে। আপনার মাঝে এমন কি আছে যা হাজার মানুষের ভীড় থেকেও তাকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করবে।
কি হলো আপনার মাঝে এমন বিশেষ কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না?
তাই তো ছ্যাঁকাটা খেয়ে ব্যাঁকা হইছেন।
.
.
আচ্ছা আপনার কেন মনে হয় তাকে ছাড়া আপনি বাঁচবেন না?
তার সাথে পরিচয়ের আগেও তো বেঁচে ছিলেন। ভালোভাবেই বেঁচে ছিলেন।
.
ভাই আমি বলি, রোমান্টিক সিনেমা, নাটক, গল্প, উপন্যাস দেখা এবং পড়া কমিয়ে দিন। পারলে বিয়ের আগ পর্যন্ত বন্ধ করে দিন।
এসব জিনিস আমাদের মস্তিষ্কে এমন ভাবে একটা কথা গেঁথে দিচ্ছে যে স্পেশাল একজন ছাড়া আমাদের জীবনের কোন মানে হয়না, আমরা অচল।
.
পুচ্চি পুচ্চি বাচ্চাদের দেখি বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে। ব্রেকআপ হলে কষ্টের স্টেটাস দেয়, হাত কাটে, সিগারেট খায়, কেউ কেউ দেবদাসকেও হার মানায়।
সত্যি করে বলেন তো এসব বাচ্চারা প্রেম ভালোবাসার বুঝেটা কি। কোথা থেকে তারা এসব শিখলো।
.
.
আপনি তো যথেষ্ঠ জ্ঞান রাখেন সবকিছু ভেবে চিন্তে ভুল সঠিক বের করার, এটা নিয়ে একটু ভাবুন।।
.
.
আচ্ছা এবার তাদের কথা বলি যারা কানে হেডফোন গুঁজে “ম্যায় ফির ভি তুঝে চাহুংগা” গানটা শোনেন। কেন ভাই? যেই মানুষটা অন্যকারো জন্য তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে তাকে তোমার চাওয়ার দরকার টা কি?
কেন চাইবা?
কোন অধিকারে চাইবা?
.
কাউকে অপরাধী বলার আগে ভেবে বলুন আপনি ওই মানুষটার জন্য কি করেছেন?
শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলেনা।
তাকে কি জীবন উপহার দিবেন ভেবেছেন একবার?
তার শখ, আল্হাদ, ইচ্ছা পূরণের ক্ষমতা কি আদৌ আছে আপনার?
ভেবে চিন্তে সত্যিটা বলুন।
যদি না থাকে তাহলে আপনার কোন অধিকার নেই তাকে অপরাধী বলার।
.
কেউ যদি কারো জন্য তোমাকে ছেড়ে যায় তাহলে তাকে তার মতো সুখে থাকতে দাও। তার পিছনে ঘুরঘুর ঘ্যানঘ্যান করে তাকে বিরক্ত করোনা।
সে যদি তোমাকে না চায়, তাহলে জোর করে তাকে তোমাকে চাওয়াতে পারবানা।
মনে রাখবা এতো তুমি বা সে কেউ সুখে থাকবেনা। ভালোবাসা তো দূরের কথা সে তোমাকে ঘৃণা করতে শুরু করবে।
.
.
এখন আসি শেষ অংশেঃ
.
আপনি বলবেন, ভাই ডায়লগ তো ভালোই লিখেন, আবেগ এসব মানেনা। কষ্ট হয়। কান্না পায়। তাকে ছাড়া থাকতে পারিনা।
আমি কি করবো?
.
হ্যাঁ এই কথার জবাব হয়তো আমার কাছে আছে।
আপনি কি করবেন, আপনার কি করা উচিত।
.
.
প্রথমেই চিন্তা করে বের করুন কেন সে আপনাকে ছ্যাঁকাটা দিলো।
.
আপনি দেখতে অসুন্দর, নাকি আপনি গরিব, নাকি আপনি আনস্মার্ট, নাকি আপনার ভবিষ্যত নেই।
.
যদি অসুন্দর বা আনস্মার্ট হওয়ার কারনে আপনার প্রিয় মানুষটি চলে যায় তাহলে নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তুলুন। কথা বলা, চলাফেরা, বেশভুষা পরিবর্তন করে স্মার্ট পার্সোনালিটি গড়ে তুলুন। কনফিডেন্স অনেক বড় ব্যাপার, যখন আপনার নিজের প্রতি আপনার কনফিডেন্স থাকবে তখন অন্যরাও আপনাকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য।
.
যদি গরিব বা বেকার হওয়ার কারনে আপনার প্রিয় মানুষটি চলে যায় তবে নিজের ভবিষ্যত গড়ার দিকে মনোযোগ দিন। জসিম চাচ্চুর মতো রাতারাতি বড়লোক হতে পারবেন না জানি, বিলগেইটস হতে পারবেন না জানি কিন্তু আগের থেকে বেটার অবস্থায় তো যেতে পারবেন। খুব ভালো না হোক মোটামুটি অবস্থানে তো পৌঁছাতে পারবেন।
.
যদি অন্যকারো জন্য চলে যায় তাহলে নিজেকে তার চেয়ে বেটার পার্সন প্রমাণ করার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতি যত্নশীল হন, নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলুন যাতে সেই মানুষটা একবার হলেও বলে নাহ্ সে মানুষ খারাপ ছিলোনা। অযোগ্য ছিলোনা। তবেই জীবনে আপনি সার্থক।।
যাতে সে আপনাকে দেখে এটা না বলে যে ভালোই করেছি তাকে ছেড়ে দিয়েছি নাহলে আজ আমার জীবনটা নষ্ট হতো। যদি সে এটা বলে তাহলে আপনি ব্যর্থ। দেবদাস সেজে শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর খাদ্যই নষ্ট করলেন।।
.
ভাই জীবনের খারাপ সময়গুলো একাই কাটাতে হয়। কারো এতো সময় নেই যে আপনার জন্য তার সময় নষ্ট করবে। অন্যের কাছে মোটিভেশন না খুঁজে নিজেকে মোটিভেট করুন।
মনে রাখবেন, আপনি চাইলেই পারেন নিজেকে বদলাতে। শুধু চাওয়ার মতো চাইতে হবে। আবেগটাকে একটু দূরে সরিয়ে বাস্তব চিন্তা করুন। কাউকে কোন কিছুর জন্য দোষ দিবেন না। কাউকে ভালোবাসলে তাকে সন্মান করতে শিখুন। নিজের জীবন নষ্ট করে তাকে অসন্মান করবেন না।।
.
অনেকে বলবেন, মিয়া অনেক তো ভাষন দিলেন নিজে জীবনে কি করছেন। ভাই আমি কিছু করিনি তবে হ্যাঁ যা লিখেছি তা ভেবেছি। আমি চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হওয়ার। গালি না দিয়ে একটু দোয়া করবেন। আর যদি মনে হয় আমার কথাগুলো একবার ভেবে দেখলে আপনার ক্ষতি হবেনা তাহলে দরকার হলে আরো দু তিনবার পড়ুন। 
ধন্যবাদ।।

Comments

Popular posts from this blog

পুরুষদের জন্য উচ্চ মানের কাপড় এবং ব্রেথেবল আউটডোর স্পোর্টস স্নিকারস হালকা ওজনের এয়ার মেশ পুরুষদের জুতা সহ ট্রেন্ডিং জুতা

SSC result মার্কশিট সহ দেখার নিয়ম

Narration শেখার সহজ নিয়ম ,১০ মিনিটে শিখে ফেলুন